সীমান্তে আর একটা মৃত্যুও চাই না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘সীমান্তে আর একটা মৃত্যুও চাই না আমরা।’
সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কাজ করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয় সেখানে সবসময় সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়টি আমরা তুলে ধরি। ছিটমহলগুলো কিছুদিন আগে বিনিময় হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। সেখানকার আলোচনায় সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় বলে জানায় দুই রাষ্ট্র। এজন্য যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট শহরের চার্চ অব গড হাইস্কুলের প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমি নিজেও সীমান্তবর্তী একটি আসনের সংসদ সদস্য। পদ্মার ওপারে ভারত এপারে আমার নির্বাচনি এলাকা। সীমান্তে হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরকমও আছে পরিবারের একজন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয়। তবে দুই রাষ্ট্রের বিধিবিধান রয়েছে; যাতে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়া কেউ কোনও দেশে প্রবেশ করতে না পারে। হিসাবে সীমান্তে হত্যা কমে এসেছে। কিন্তু একটা মৃত্যুও অনেক। তাই আমরা সীমান্তে আর একটা মৃত্যুও চাই না। আশা করছি, সামনে শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’
মোগলহাট স্থলবন্দরের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও পাকিস্তান পরবর্তী সময় থেকে মোগলহাটের রেললাইনটি চালু ছিল। সেখান থেকে কয়লা আসতো। তবে আমরা দুই রাষ্ট্র মিলে পুরনো যোগাযোগের যে পয়েন্টগুলো রয়েছে, তা পুনরায় চালু করবো। তবে সেখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। এখানে যোগাযোগসহ সার্বিক দিকগুলো দেখতে হয়। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন এটা চালু করা সম্ভব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে স্থলবন্দর চালুর বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানাবো।’
চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জুবিলি) উদযাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান এবং লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজার করিম স্বপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, মিশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমানসহ বর্তমান সব শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক ও প্রায় পাঁচ হাজার সাবেক শিক্ষার্থী।