জাতীয়জাতীয় সংবাদপ্রতিবেদনপ্রধানমন্ত্রীশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

এবারের বর্ষ পণ্য ‘আইসিটি পণ্য ও সেবা’

রপ্তানিকে উৎসাহ প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় বর্ষ পণ্য ঘোষণা করেছেন। আর ২০২২ সালের বর্ষ পণ্য করা হয়েছে ‘আইসিটি পণ্য ও সেবা’কে।
শনিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা(ডিআইটিএফ)’-২০২২ এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘সময় কিন্তু এখন আমাদের, সময় বাংলাদেশের এবং সেই সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। প্রতিবছর একটা পণ্যকে বর্ষ পণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে থাকি। এবার আমি ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য ও সেবাকে জাতীয়ভাবে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি।’
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেয়ার লক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল হতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী কমপ্লেক্সে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতো।
অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দু’টি হলে সব স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এবার মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কারপেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।
প্রতিদিন মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা র্পন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা, শিশুদের ২০ টাকা।
মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নামতে হবে কাঞ্চন ব্রীজ। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে যেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *