শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান স্পিকারের
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রত্যয় নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিট ২০২২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে চলমান উন্নয়নের সুফলকে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে যুবসমাজকে নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বাইশ বছর ধরে কাজ করার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুবসমাজকে একত্রিত করে সময়োপযোগী, গুরুত্বপূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল করে তোলার মাধ্যমে তারা জনবান্ধব পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছে সমগ্র বাংলাদেশে। কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারাই স্বার্থকতা; যাকে সামনে রেখে ধ্রুবতারা কাজ করছে। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তাঁর স্বপ্নের শোষণ-বৈষম্যমুক্ত-উন্নত সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
স্পিকার বলেন, যুবকল্যাণ ও যুব উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে বৈষম্য নিরসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমান সুযোগ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে। যুবকদের মেধা, দক্ষতা ও প্রতিভা রয়েছে, প্রয়োজন সুযোগ। সুযোগ পেলে তারা মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তাই সকলের জন্য সমান সুযোগ উন্মুক্ত করার পাশাপাশি বিশ্বায়নের এই যুগে জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয়ে যুবসমাজকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার সামাজিক বনায়ন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমে দেশে সাধারণ মানুষ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উপকৃত হচ্ছে। কোভিড মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে সৃষ্ট নতুন চ্যালেঞ্জসমূহ থেকে উত্তরণ, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে যুবসমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে। নারী-শিশু-যুব-প্রতিবন্ধী সকলকেই উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষিত রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রত্যয় নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আজমের সভাপতিত্বে এবং ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্কের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আরমা দত্ত এমপি ও ফখরুল ইমাম এমপি বক্তব্য রাখেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।