শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবির ৩ জন পেলেন শুদ্ধাচার পুরস্কার

কর্মক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতা, সেবার গুণমান, সততা ও স্বীয় কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও দুই কর্মচারী।
সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত সরকারি কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা ও সততা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উৎসাহিত করতে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। আর এ পুরষ্কার বশেমুরবিপ্রবিতে এবারই প্রথম প্রদান করা হয়েছে।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের “স্বাধীনতা দিবস হলে” কর্মরত সেকশন অফিসার জনাব মোঃ মাসুম হাওলাদার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, মুশফিকুর রহমান এবং ক্লিনার পংকজ দাস। পুরস্কার হিসেবে তাদের একটি সনদ ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সেকশন অফিসার মোঃ মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কারই অত্যন্ত আনন্দের। জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার আমার জন্য নিঃসন্দেহে একটা বড় সম্মানের বিষয়। এ পুরস্কার আমাকে ভালো কাজে আরও বেশি উৎসাহ দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে মানসিক শক্তি জোগাবে।’ মোঃ মাসুম হাওলাদার ঢাকার সরকারি বাংলা কলেজ হতে হিসাববিজ্ঞানে অনার্স এবং মাস্টার্স (প্রথম শ্রেণীতে) পাস করেন। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
পুরষ্কার নির্ধারণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উক্ত কমিটির সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী এস এম ইস্কান্দার আলী বলেন, ‘নিয়মানুবর্তিতা, কর্মদক্ষতা, সততা ও অন্যান্য নির্ধারিত কিছু ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ১০০ নাম্বারের মধ্যে সবাইকে নাম্বার দেওয়া হয়। এ নাম্বারের ওপর ভিত্তি করে ২য় থেকে ৯ম গ্রেডের একজনকে, ১০ম থেকে ১৬ তম গ্রেডের একজনকে এবং ১৭-২০তম গ্রেডের একজনকে মোট ৩ জনকে আমরা পুরষ্কার প্রদান করেছি।’
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা ও কাজের মানের পার্থক্য করা ও তালিকায় আগে পিছে অবস্থান দেওয়া কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন জানান, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্ত নাম্বারের পার্থক্য খুবই সামান্য। তবে সকলের বিবেচনার ভিত্তিতে ৩ জনকে আমরা নির্বাচিত করে পুরষ্কার প্রদান করেছি।’
পুরষ্কার প্রদান কমিটির সদস্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর এ পুরষ্কার প্রবর্তন। এতে সরকারি চাকুরীজীবিদের মধ্যে নিজ দায়িত্ব ভালোভাবে পালনের প্রতি এক ধরনের ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে যা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
১৪ আগস্ট ওই ৩ জনের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কারের একটি সনদ ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *