প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামীর বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
আলোচনাকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের লক্ষ্যে এ অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “প্রতিবেশীদের সাথে উদ্বেগের কিছু বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সেগুলি সমাধান করে এগিয়ে যেতে পারি।”
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভারতী হাইকমিশনার সাক্ষাতের সময় শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে অত্যন্ত সফল হিসেবে বর্ণনা করেন এবং এ সফরের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।
দোরাইস্বামী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের পরবর্তী প্রজন্ম বিদ্যমান সম্পর্কের সুফল পাবে।
শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে তার নির্বাসিত জীবনের স্মৃতি স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বিদায়ী হাইকমিশনকে তার নতুন পদায়ন লাভের জন্য অভিনন্দন জানান এবং তার উজ্জ্বল ও সফল কর্মজীবন কামনা করেন।
বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।
তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে যে সহায়তা ও নির্দেশনা পেয়েছেন তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমি আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনেক ধন্যবাদ জানাই।”
ভারতীয় হাইকমিশনার বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রতিকৃতি তাঁকে উপহার দেন এবং প্রধানমন্ত্রী হাইকমিশনারকে একটি বই, শাড়ি এবং নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।