উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মাইলফলক : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মাইলফলক।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে এই ঐতিহাসিক অর্জনের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অর্জনের মূলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব।
তিনি আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী গৃহীত সুপরিকল্পিত নীতিমালা ও কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ভিন্ন মর্যাদায় অবস্থান করছে। এসময় তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করে মেধা নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনন্দিত নেতা বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা, সার্বজনীন শিক্ষা কার্যক্রম, বিনামূল্যে বই বিতরন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, হাইটেক পার্ক স্থাপন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। এসময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করে এশিয়ার টাইগারে পরিণত হতে যাচ্ছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে সোনার বাংলা বিনির্মাণের ভিত রচনা করে গেছেন। পিতার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।