২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে যুক্ত হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে সংযুক্ত করে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়া হবে।
ইন্টারনেটকে সহজ ও সুলভ করার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে ইন্টারনেট সেবাকে পঞ্চম মৌলিক সেবা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে আইএসপিএবিসহ আইসিটি পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভা কক্ষে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আইএসপিএবি পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক, আইএসপিএবি’র মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সহ সভাপাতি আনোয়ারুল আজিম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাইয়্যুম রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও পরিচালক সাকিফ আহমেদ।
গ্রামকে শহরে পরিণত করতে ‘ডিজিটাল ইকোনিমির লাইফ লাইন’ ইন্টারনেট উল্লেখ করে পলক বলেন, বিদ্যুত যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, সেভাবে প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চাই। এই লাস্টলাইন সল্যুশনটি আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে আজ আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মকছুদ জাহেদীকে প্রধান করে একটি কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন আইএসপিএবি সভাপতি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকলের কাছে সুলভে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা। তাই উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এক পরিবার হয়ে কাজ করবো। অল্পদিনের মধ্যেই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের অধীনে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামে গ্রামে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে দিতে আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে ১ লাখ ৯ হাজার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ লাখ কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হবে।
আইএসপিএবি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে পলক বলেন, স্বল্পমূল্যে একই দরে ইন্টারনেট সেবা বাস্তবায়ন করতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জন্য রাউটার, সুইচ আমদানী কর শূন্য করা এবং তাদের সেবাকে আইটিইএস সেবার অন্তর্ভূক্ত করতে রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয়া হবে। এছাড়াও ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখতে এবং ইন্টারনেট কনেটেন্টে শৃঙ্খলা রাখতে আইএসপিএবি’র মাধ্যমে একটি ‘ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ল্যাব’ স্থাপনে আইসিটি বিভাগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠন আইএসপিএবি’র নবনির্বাচিত কমিটির চারটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।