স্থানীয় খেলাধুলার ব্যাপক প্রসারের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মকান্ডে তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা বাড়াতে স্থানীয় খেলাধুলার ব্যাপক প্রসারের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, খেলাধুলা এবং শারীরিক ব্যায়াম আত্মবিশ্বাস ও দেশের জন্য দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
তিনি বলেন, “স্থানীয় খেলাধুলার ওপর আরও গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন যাতে এসব খেলাধুলার চর্চা বৃদ্ধি পায়। আমি চাই আমাদের শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকুক।”
রাজধানীর বনানী এলাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম এবং সাংস্কৃতিক চর্চা আত্মবিশ্বাস, দেশের প্রতি ভালবাসা এবং দেশের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি জনগণকে হাসি-খুশি রাখে।”
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সারাদেশে (উপজেলা) মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে যাতে সারা বছর সেখানে বিভিন্ন খেলাধুলা করা যায়।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলে ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেবে সরকার।
তিনি বলেন, “এখন পূর্বাচলে ক্রিকেটের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা পদক্ষেপ নেব যাতে ফুটবল সহ অন্যান্য খেলার জন্য এর কাছাকাছি আরেকটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়। ”
প্রধানমন্ত্রী এর আগে স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। গ্র্যান্ড ফিনালেতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে ইউনিয়ন ব্যাংক।
তিনি চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার আপ দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও প্রাইজমানি বিতরণ করেন।
চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা এবং রানার্স আপ দলকে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভ করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৩০ লাখ টাকা এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০ লাখ টাকা পেয়েছে।
বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) কর্তৃক আয়োজিত প্রথম “শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩” গত ১৩ মে মোট ৩৪টি ব্যাংক দলের অংশগ্রহণে শুরু হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।