রাজনীতিবিদরা শেখ হাসিনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পতাকাবাহী হিসেবে অভিহিত করেছেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পতাকাবাহী। কারণম, তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বাসস’কে বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পতাকাবাহী। তিনি দেশ পরিচালনায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন।’
শেখ হাসিনাকে তার বোন হিসেবে অভিহিত করে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা কাম রাজনীতিবিদ-সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ও সফল জীবন কামনা করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে এবং দেশকে সচ্ছল করে তুলতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হওয়ায় দেশ পরিচালনায় তাঁর অনন্য সাফল্য রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, সংবিধানের চারটি মূলনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণ করে দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর তৎকালীন সামরিক শাসকরা দেশের রাজনৈতিক গতিপথ উল্টে দিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় দেশ চালায়।
২১ বছর পর শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং তারপর থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করে চলেছেন এবং কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি।
শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন এবং দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রগতিশীল রাজনীতি ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান ব্যক্তিত্ব ইনু বলেন, তিনি জাতিকে উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করেছেন এবং আইনসভাকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আরও কিছু দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস চিরতরে নির্মূল হয়ে যাবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইনু জন্মদিনে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেন, শেখ হাসিনা জাতিকে সফলতার সাথে সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করে তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে এদেশের মাটির মানুষের মন জয় করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে এনেছেন এবং জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিচারের আওতায় এনেছেন।’
মায়া উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনার শাসনে জনগণ সবসময় নিরাপদ।
সিদ্দিকী ও মায়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, শেখ হাসিনা জাতিকে তাঁর স্বপ্নের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত দক্ষতা ও গতিশীলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন।
তিনি দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছেন এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে দেশ উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছেন এবং তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হওয়ায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত শেখ হাসিনা সেই বছরের ১৭ মে তার মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন এবং পরে দেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটিকে পুনর্গঠন করেন।
মহিউদ্দিন বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের পর তিনি তাঁর পিতার হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন এবং এখন তিনি চতুর্থ ও টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছেন।
তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের নিরাপদ অভয়ারণ্যে হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করায় দেশে এখন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের স্থান নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি তার ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন এবং সেই সাথে তিনি বিপুল সংখ্যক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে জমিসহ বাড়ি নিশ্চিত করেছেন যা বিশ্বে একটি বিরল উদাহরণ।
প্রতিটি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ তাঁর নেতৃত্বে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে, কারণ স্বাস্থ্যসেবা, অন্যতম মৌলিক অধিকার, প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং স্বাস্থ্যের সার্বজনীন প্রবেশাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা স্বীকার করে, জাতিসংঘ সর্বসম্মতিক্রমে এই বছরের মে মাসে সম্প্রদায়-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত প্রথম রেজোলিউশন গ্রহণ করে।
তিনি এক মিলিয়নেরও বেশি নির্যাতিত এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে একটি বিরল উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বৈশ্বিক ফোরামে নিয়ে যান যেখানে তিনি বারবার বিশ্ব নেতৃত্বকে এই সংকট সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন যার জন্য সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যানেল ৪ নিউজ প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবতার মা’ বলে অভিহিত করেছিল।