ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিটি খাতের বৃহৎ আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২’
আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আইসিটি খাতের বৃহৎ আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে।
বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের সক্ষমতা জানান দিতে এই আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ৮ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)-তে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার রাতে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত “শেরাটন ঢাকা” হোটেলে ‘অ্যাম্বাসেডর নাইট’ আয়োজনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’র মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ থেকে আইসিটি পণ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চায় সরকার।
‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২’র আয়োজন সম্পর্কে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে জানাতে এবং বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে এই ‘অ্যাম্বাসেডর নাইট’ আয়োজন করা হয়। এতে সৌদি আরব, মালদ্বীপ, মরক্কো, ব্রুনাই, তুর্কি, দুবাই, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ও ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং আইসিটি উপদেষ্টার পরামর্শে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পরিষ্কার লক্ষ্যমাত্রা ছিল আমাদের। আজ যে বাংলাদেশ আপনারা দেখছেন, সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলাফল।’
আইসিটি খাতে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে চায়- উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে গেছেন- ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ আমরা সেটি অনুসরণ করে যাচ্ছি।’
পলক বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও গবেষকরা আমাদের বাজার পরিদর্শন করুক, আমাদের সক্ষমতা দেখুক। আমরা ডিজিটাল খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে অংশীদার হয়ে সমন্বয় করে কাজ করতে চাই।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত আইসিটি খাতে দুই মিলিয়নের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছি। আইসিটি খাতে রপ্তানি বাবদ আয় হচ্ছে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন । আমরা প্রায় দুই হাজার সরকারি সেবা এখন ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে এসেছি। দেশে বিক্রিত মোবাইলের ৮০ ভাগ এখন দেশেই তৈরি হয়।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২ -এ থাকছে স্টার্টআপ সামিট, মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, বিপিও সামিট, ই-গভার্নেন্স এক্সপো, ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো, মোবাইল অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো, সফ্টওয়্যার শোকেসিং, ই-কমার্স এক্সপো এবং কনসার্ট। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর প্রতিপাদ্য বিষয় হল ‘বি ইনোভেটিভ এন্ড স্মার্ট ’।