‘আমি মারা যেতে পারতাম’-নিউইয়র্ক পোস্টকে ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্দুক হামলা থেকে বাঁচার পর নিউইয়র্ক পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমি মারা যেতে পারতাম।’
তিনি তাঁকে হত্যা করার চেষ্টাকে ‘একটি পরাবাস্তব অভিজ্ঞতা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
উইসকনসিনের শহর মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিমানে পত্রিকাটিকে তিনি আরো বলেন, ‘আমার এখানে থাকার কথা নয়, আমার মরে যাওয়ার কথা ছিল।’
ডান কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা ৭৮ বছরের ট্রাম্প হামলার শিকার হওয়ার মুহূর্তটিকে স্মরণ করে বলেন, ‘এটি একটি পরাবাস্তব অভিজ্ঞতা।’
তিনি জানান, চিকিৎসকরা তাঁকে বলেছেন, তাঁর ফিরে আসা ‘একটি অলৌকিক ঘটনা’।
নিউইয়র্ক পোস্টকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যখন গুলির ঘটনা ঘটে তখন আমি বক্তব্যের অন্য একটি পার্টের লিখিত অংশ দেখার জন্য পোডিয়ামের দিকে ঝুঁকেছিলাম। মূলত এই কারণেই আমি বেঁচে গেছি বলে আমার ধারণা।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তাঁকে রক্ষা ও বন্দুকধারী থমাস ক্রুকসকে হত্যার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা দুর্দান্ত কাজ করেছেন।’
সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নিয়েও কথা বলেন। তাঁর সেই ছবিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত মুখম-ল নিয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মুষ্টি উঁচিয়ে ধরেছেন এবং বলছেন, ‘ফাইট,ফাইট,ফাইট।’
সেই ছবি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক লোকেই বলছেন, এই ছবিটি তাদের জীবনে দেখা সেরা আইকনিক ছবি। তাঁরা ঠিক বলেছেন। তবে এই ধরনের ছবি পাওয়ার জন্য প্রাণও দেওয়া লাগতে পারে, কিন্তু আমি মরিনি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘অনেক লোক বলছেন, ভাগ্য বা ঈশ্বরের সহায়তায় আজ আমি এখানে উপস্থিত হতে পেরেছি।’
ট্রাম্প জানান, রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনের জন্যে বাইডেনের ভয়ংকর প্রশাসনের বিরুদ্ধে তিনি খুব কড়া ভাষায় তাঁর বক্তব্য তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হামলার ঘটনার পর তা আবার লিখেছেন। আগেরটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। কারণ, তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান।
এ সময় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই ঘটনা তার নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে কি-না? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আমাদের দেশকে একত্রিত করার চেষ্টা করতে চাই। কিন্তু আমি জানি না, এটি সম্ভব কি-না। মানুষ খুবই বিভক্ত।’
রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে পেনসিলভানিয়ায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে অতর্কিত হামলার শিকার হন। হামলাকারীর গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে যায়।
ট্রাম্পের মঞ্চ থেকে প্রায় ১৩০ গজ দূরের একটি ছাদ থেকে হামলাকারী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন।