বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে দেশের টেলিকম প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
আগামীকাল ১৭ মে, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল শুক্রবার এ দিবসটি পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবন’ তাৎপর্যবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম নির্দেশক। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়নে স্থাপন করেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা ইউডিসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা আজ সবার হাতের মুঠোয়। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিগ ডাটা, মেশিন লার্নিং, এআইভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ ও গতিশীল করেছে। এছাড়া জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবধান হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি দেশের টেলিকম প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
তিনি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।