আগামী ৭ জানুয়ারি সকলকে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসীকে ভোট দিয়ে দেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা বিদ্যমান রয়েছে তা প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ভোট আপনার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন এবং প্রমাণ করুন যে দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান রয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণার শেষ জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বানও জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করব সবাই শান্তিপূর্ণভাবে থাকবেন, শুধু আপনারা নন, সারা বাংলাদেশের সকল জনগণের কাছে আমি অনুরোধ করব সকলেই শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকবেন। প্রত্যেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের ভোটের অধিকার যেটা সাংবিধানিক অধিকার, সে অধিকার প্রয়োগ করবেন।’
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের এই সাংবিধানিক অধিকারকে মিলিটারি ডিক্টেটররা একের পর এক কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেছিল। আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে (আন্দোলন-সংগ্রাম করে) জনগণের সেই অধিকার জনগণের হাতে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। হত্যা, কু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, প্রতি রাতে কারফিউ অবস্থা, সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। কাজেই, ভোটের অধিকার আপনার মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার আমরা সংরক্ষিত করেছি।
তিনি বলেন, সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ২০০৯ থেকে এই ২০২৩ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে এবং আজকে আমরা ২০২৪ এ পা দিয়েছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশের এত উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
জনসভায় শেখ হাসিনা তার দলের নারানগঞ্জ জেলার চার প্রার্থীকে পরিচয় দেন এবং তাদেও জন্য নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন, নৌকা মার্কা আমাদের মার্কা, এই এ নৌকা দিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইশারায় নূহ নবী একদা মহাপ্লাবন থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। এই নৌকায় ভোট দিয়েই এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকা আজকে উন্নয়ন দিয়েছে। এই নৌকায় আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের আপনারা জয় যুক্ত করবেন আপনাদের কাছে সেই আহ্বান জানাই।
তিনি এ সময় জনগণের কাছে ওয়াদা চাইলে জনগণ সমস্বরে দুহাত তুলে তাকে সমর্থন জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই নির্বাচনকে নিয়ে অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছিল। নির্বাচন যাতে না হয় সেই চক্রান্ত এখনও চলছে। যেহেতু বিএনপি নিজেরা নির্বাচন করে জিততে পারবে না তাই দেশের মানুষকে বঞ্চিত করা ভোটের অধিকার থেকে। সামরিক শাসকরা যখন একে একে ক্ষমতায় এসেছে তারা কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন বিএনপির সেই একই কাজ করতে চায়।
তিনি বলেন, নির্বাচনে তারা আসেনি সেটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকারে বাধা দেওয়া কখনোই এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। এ অধিকার মানুষের অধিকার, কাজেই ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, ইনশাআল্লাহ সেই নির্বাচন হবে। আজকে এই নারায়ণগঞ্জে এটাই আমাদের নির্বাচনকালীন শেষ সভা।
এ সময় জাতীয় সম্পদ যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে এজন্য বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক মিছিল, স্লোগানে চারদিক মুখরিত করে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকও জনতা সভাস্থলে সমবেত হতে থাকেন। বিকেল ৩ টা ১৩ মিনিটে যখন নৌকা আকৃতির বিশাল মঞ্চে ওঠেন শেখ হাসিনা ততক্ষণে সমাবেশ স্থল পেরিয়ে আশপাশের বহুদূর পর্যন্ত জনসমুদ্র বিস্তৃত হয়ে পড়ে। শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানালে জনগণও তার প্রতিউত্তর দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ২০০৮ এর নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছিলাম। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩৩ আসনে এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছিল। বাকি আসনগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা মহাজোটের শরিকরা পেয়েছিল। তারপর থেকেই কিন্তু বিএনপি আর নির্বাচনে আসতে চায় না। নির্বাচনে আসতে তারা ভয় পায়। যার জন্য তারা সন্ত্রাস করে। আপনারা জানেন যে ২০১৪ ইলেকশন বন্ধ করার জন্য ২০১৩ সাল থেকে তারা অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করে। ৩ হাজারের উপরে মানুষকে তারা পুড়িয়েছে, তার মধ্যে ৫শ’ মানুষ মারা গেছে। ৩ হাজার ৮শ’ যানবাহন পুড়িয়েছে, রেল পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, সরকারি দপ্তর ও ভূমি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ওই জ্বালাও পোড়াও মানুষ খুন এটাই হচ্ছে বিএনপি’র একমাত্র গুণ। এটাই তারা পারে আর কিছু পারে না। মানুষকে তারা কিছুই দিতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা জন্ম শতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কালে এই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে গ্রাজুয়েশন লাভ করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যে ঘোষণা দিয়েছিলাম এটা দিন বদলের সনদ, আজকে আমরা সেই দিন বদল করতে পেরেছি। ২০২৬ সালে এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। কাজেই বাংলাদেশ আর পিছনে ফিরে তাকাবে না। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে উন্নয়নের পথে।
তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হোক, আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ, এদেশের মানুষ। আর সেই মানুষকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের সব থেকে প্রাচীন সংগঠন। এই সংগঠনকে জাতির পিতা তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে যিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। আজকে কেবল বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। কাজেই এটা কারো দয়া বা দান নয়, কারো মুখাপেক্ষী বাংলাদেশ হবে না। আমাদের নিজের পায়ে নিজেদের দাঁড়াতে হবে। অনেক উন্নত দেশ কোভিড-১৯ চলাকালীন বিনা পয়সায় কাউকে ভ্যাকসিন দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, “টাকা পয়সার দিকে তাকানোর দরকার নেই৷ যত টাকা লাগে আমি দেব কিন্তু মানুষকে বাঁচাতে হবে। ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে, সেবার ব্যবস্থা করেছি। ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মী নার্সদের আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করে জনগণকে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি যেন শিল্প কলকারখানা বন্ধ না হয়।”
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি যেটা ৮শ’ টাকা ছিল পরিবর্তে তিনি সেটা ১৬শ’ টাকা এবং গত তিন মেয়াদে বাড়িয়ে সবশেষে ১২ হাজার ৫শ’ টাকা করেছেন বলে উল্লেখ করেন। সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করে তথ্যপ্রযুক্তিকে জনগণের নাগালের মধ্যে এনে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়ে, ইউনিয়নে ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে তাঁর সরকার। দেশে এখন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। তারা ঘরে বসেই বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করতে পারছে। এর জন্য ভাষা শিক্ষার অ্যাপসহ প্রশিক্ষণ এবং নানা রকমের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার।
তাঁর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচির উপকারভোগী প্রায় ১০ কোটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার পেনশন স্কিম চালু করেছে কাজেই এরপরে আর কাউকে ভাতার উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন করে আর বিএনপি করে ধ্বংস। আপনারা দেখেছেন ২৮ অক্টোবর কিভাবে পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে, কত পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে, পিটিয়ে নির্মমভাবে পুলিশ হত্যা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে, রোগী নিয়ে এম্বুলেন্স যাচ্ছে সেই অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে এবং বিচারপতিদের কোয়ার্টারে হামলা করেছে। সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতন করেছে। এখনো ও বহু সাংবাদিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মহিলাদের মিছিলে হামলা করে মহিলাদের উপর নির্যাতন করেছে। ঠিক যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা মহিলাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারাও ঠিক তেমনভাবেই ঝাপিয়ে পড়েছে। ২০১৩-১৪ মত নির্যাতন ও অগ্নি সন্ত্রাস এবং মানুষ হত্যার ফাঁদ পাততে শুরু করেছে। রেলের ফিসপ্লেট তুলে ফেলে, গ্যাস কাটার দিয়ে লাইন কেটে রেলের বগি ফেলে মানুষ হত্যা করেছে তারা। রেলে আগুন দিয়েছে যে আগুনে পুড়ে মা ও শিশু মারা গেছে। মা তার ছেলেকে আগলে ধরে বাঁচতে চেয়েছিল কিন্তু দুজনেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছে। যে ঘটনা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইল যেভাবে হামলা করছে, হাসপাতালের উপর বোমা হামলা করছে বিএনপিও ঠিক ইসরাইলকে অনুসরণ করে পুলিশ হাসপাতালে এবং অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করছে। ওদের মনুষ্যত্ব বলে কিছু নেই।
তিনি এসময় প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। যাদের জমি আছে জমিতে চাষ করবেন, যাদের পুকুর আছে, জলা আছে মাছ মাছের চাষ করবেন, গবাদিপশু পালন করবেন, নিজের পায়ে দাঁড়াবেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয় অর্থাৎ আমাদের খাদ্যের ব্যবস্থা আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অবকাঠামো উন্নয়ন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সবকিছু আমরা করেছি। দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা যাতে সহজ হয় একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ এটা ধরে রাখতে পারবে না। কারণ আমরা দেখেছি আমরা ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল যা উন্নতি করেছিলাম তা ধ্বংস করেছিল। আর কেউ এদেশের উন্নতি করবে না এমনকি মন দিয়েও করবে না। আমি শুধু একটা কথাই বলবো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আজকে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সে বাংলাদেশে আমাদের তরুণ সমাজ শিক্ষা দীক্ষা এবং প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের স্মার্ট জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি আর সমাজ ব্যবস্থাও স্মার্ট হবে।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত এবং এরপর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
গত মঙ্গলবার ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর, শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় জনসভায় ভাষণ দেন, যেটি তার নির্বাচনী এলাকাও। ঢাকায় ফেরার পথে তিনি মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেন। আগের দিন দিন বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এব বিশাল নির্বাচনী সভায় ভাষণ দান শেষে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে পুস্তসতবক অর্পণ করে অবিসংবাদিত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর পৈত্রিক নিবাসে রাত্রিযাপন করেন।
তিনি ২৬ ডিসেম্বর রংপুর সফর করেন এবং তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে তিনি বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনে তিনি রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ প্রদান করেন। আজ নারায়ণগঞ্চে মহাসমাবেশের মাধ্যমে তাঁর নির্বাচনী প্রচার সমাপ্ত করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।