আমরা আক্রমণ করবো না, তবে পাহারায় থাকবো: ওবায়দুল কাদের
আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। তবে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আক্রান্ত হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি কী জবাব দেবে, প্রশাসন জবাব দেবে, নাকি পার্টি দেবে, সেটা সময় বলে দেবে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি আমাকে বারবার মারবেন, আমি চুপ করে থাকবো। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো, তা কী হয়! এটা হয় না। আমরা সারা দেশেই আগে যেমন ছিলাম, তেমনই সতর্ক অবস্থায় আমরা থাকবো।’
‘সময় আরও এক বছর, সময় গড়িয়ে যাবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রে অনেক পানি বয়ে যাবে। অনেক পরিবর্তন হবে। গতবারও তো বিএনপি ২১ দল নিয়ে বললো— ইলেকশন করবে না। শেষ পর্যন্ত ইলেকশনে এসেছে। এখন কিছু কিছু দল আছে, জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো। এখন তারা থাকলেও কী, না থাকলেও কী? আমি কাউকে উপহাস করছি না। ডেমোক্রেসিতে অনেক দল আছে সাইনবোর্ডে, অনেকে লেটারহেডে আছে। এই ঐক্যের ভবিষ্যৎ কী? সেটা আমাদের অভিজ্ঞতা সুভকর হবে বলে মনে করি না।’
বিএনপির জনসমাগম করতে নেতৃত্ব প্রয়োজন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে নেতৃত্ব দেবে এই আন্দোলনকে? কে নেতৃত্ব দেবে আগামী নির্বাচনে? সেই লোকটি কে? তারা তো নির্বাচনের যোগ্য না। যে দুই জনের কথা বলবেন— একজন লন্ডনে, আরেকজন জেলে। জেলে মানে শেখ হাসিনার উদারতা বাসায় আসছে। কিন্তু শি ইজ কনভিক্টেড।’
তিনি বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) ১০ তারিখে আসবেন শুনলাম, ৩০ তারিখে আসবেন শুনলাম। আসলে দেশে ফিরে আসার সৎ সাহস তার আছে বলে বাংলাদেশের লোক এখন আর বিশ্বাস করে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বিচার ব্যবস্থা কি পরাধীন? দেশের বিচার ব্যবস্থা কি সরকারের অধীন? সরকারের কত লোক আজ কারাগারে। সরকারের কত লোক দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছে? তারপর দুদকের মামলায় অনেকেই কারাগারে আছেন। অনেকে কনভিক্টেড হয়ে গেছে। আমাদের এখানে তো বিএনপিরও অনেকে জামিন পাচ্ছে। পায়নি?’
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসূফ হাসান হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ, সাধারণ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি প্রমুখ।