মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার চর্চা করলে প্রয়াত সাংবাদিক জগলুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার চর্চা করলে প্রয়াত সাংবাদিক জগলুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।’
দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির বিশ্লেষক মরহুম জগলুল আহমেদ চৌধূরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে আমাদের জন্য দুটি বিষয় অনুকরণীয় হতে পারে; একটি হচ্ছে- চলন্ত বাস থেকে যাত্রী উঠানামা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা আর আরেকটি বিষয় হচ্ছে- আমাদের সাংবাদিকদের মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার চর্চায় নজর দেয়া।’
ড. মোমেন বলেন, ‘জগলুল সবসময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতেন। ইদানীংকালে আমাদের যারা নতুন সাংবাদিক তাদের জন্য জগলুলকে অধ্যয়ন করা দরকার।’
অনুজপ্রতিম সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সাথে পারিবারিক সূত্রে এবং পেশাগত কারণে নিজের সম্পর্কের কথা স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর মৃত্যু অত্যন্ত পীড়াদায়ক। জগলুল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের জন্য সাংবাদিকতার যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।’
ড. মোমেন আরো বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের যেহেতু অনেক কিছু জানতে হয়, জগলুলেরও জানার অনেক আগ্রহ ছিল। তিনি সবসময় তথ্য জানার চেষ্টা করতেন এবং রিপোর্টিং জন্য প্রচুর জ্ঞানার্জন করতেন। বিশেষ করে উপমহাদেশ সম্পর্কে জানার বিষয়ে তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। সে আগ্রহ থেকেই তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কিছু জানতেন এবং বিশ্লেষণ করতে পারতেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ হিসেবেও জগলুল অত্যন্ত হৃদয়বান মানুষ ছিলেন। তিনি কখনো কাউকে অসম্মান করতেন না। এটি তাঁর একটি বড় গুণ। মনের দিক থেকেও তিনি উদার ছিলেন।’
সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সভাপতি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের মহাসচিব ও দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়, সিনিয়র সাংবাদিক ও বন্ধুজনেরা স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।