বাংলাদেশ যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় : ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মিয়ানমারের মর্টার ভুলক্রমে এসেছে, নাকি উস্কানিমূলক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিস্কির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় শুরুতেই দেশটির রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তখন মিয়ানমার জানিয়েছিল মর্টারশেলটি ভুলক্রমে বাংলাদেশের সীমানায় গিয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা সতর্ক থাকবেন বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছিলেন।
আবারও একই ঘটনা ঘটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে খতিয়ে দেখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে ভুলক্রমে এটা ঘটেছে, নাকি উস্কানিমূলক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজের অস্তিত্বের মতো। বাংলাদেশ চায় যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালও লন্ডনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই। নতজানু হওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির। তারা কথায় কথায় দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
মন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে সাহায্য চাওয়াই বিএনটির মেরুদণ্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি আসলে নতজানু, ভঙ্গুর, পরনির্ভর একটি রাজনৈদিতক দল, তারা দেশকে পরনির্ভরশীল ও নতজানু দেখতে চায়, চায় তাবেদার হয়ে থাকতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় দেশকে মর্যাদাশীল, সমৃদ্ধ অবস্থানে উন্নীত করতে।
বিভিন্ন অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ এখনো বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ দাবি করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলে, আবারও তারা সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে, উস্কানি দিচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং পুলিশকে উস্কানি দিচ্ছে।
এসময় বিএনপিকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।