‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের বেকার জনসংখ্যার জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, শিশু শ্রম নির্মূল এবং নারী শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রম আরো বেগবান করা হবে।
আজ বিকেওে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমখাত সম্পর্কিত জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ অনুযায়ী কারখানাসমূহের ঝুঁকির ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও শ্রম পরিদর্শন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের কর্মক্ষম শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে আগামী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ৩৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাড়লে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরির প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে, যা তার জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে। এলক্ষ্যে সরকার দক্ষতার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। চলমান ও ভবিষ্যতের শিল্প-বাণিজ্যের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে শ্রমিকের দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সরকার ‘স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) )’এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন, দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি, আন্তর্জাতিক সনদ প্রদান ইত্যাদি বিষয়েও কার্যক্রম পরিচালনা করে এসইআইপি প্রকল্প দেশের মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে শিল্প খাতে নিয়োজিত জনশক্তির যুগোপযোগী দক্ষতা নিশ্চিত করতে অধিকতর ফলাফল-ভিত্তিক একটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং যার প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের অর্থায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল’-এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করার জন্য স্থায়ী জনবল নিয়োগ শুরু হয়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডি) জাতীয় দক্ষতা পোর্টাল বিনির্মাণ ও জাতীয় দক্ষতা নীতি প্রণয়নপূর্বক বাস্তবায়ন শুরু করেছে।