৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন
৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২১ হাজার ৫৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান সহায়তা ২৯ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মান্নান জানান, একনেক সভায় মোট ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২১ হাজার ৫৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান সহায়তা ২৯ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘পাবনা জেলার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ’ প্রকল্প, ‘যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১: নদী তীর সংরক্ষণ ও নদী শাসন (কম্পোনেন্ট-১)’ প্রকল্প এবং ‘পদ্মা নদীর ভাঙ্গন হতে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলাধীন তালবাড়িয়া এবং কুমারখালী উপজেলাধীন শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি এবং পলিশেড নির্মাণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন’ প্রকল্প এবং ‘রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন’ প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৭টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘লোকাল গভর্ণমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্প, ‘সিলেট বিভাগ গ্রামীণ এ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘নওগাঁ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘মাগুরা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘জয়পুরহাট জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘ইনার সার্কুলার রিং রোডের বেড়িবাঁধ রায়ের বাজার সুইস গেইট থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘আমিন বাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্প।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্পসমূহ হলো-‘দেশের ৬৫৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন’ প্রকল্প, ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ’ প্রকল্প এবং ‘লার্নিং এক্সিলেরেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ প্রকল্প। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ‘বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অফসাইট পানি সরবরাহের সুবিধাদি স্থাপন’ প্রকল্প এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘১০ জেলায় বিএসটিআই’র আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন’ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘ইনস্টালেশন অব স্মার্ট পিরিয়ড গ্যাস মিটারস,এসসিএডিএ এন্ড জিআইএস অ্যাট পিজিসিএল ফ্রাঞ্জাইস এরিয়া’ প্রকল্প, ‘গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট এন্ড কার্বন এবেটমেন্ট’ প্রকল্প, ‘স্মার্ট মিটারিং এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্প; ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্প এবং ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘মতলব উত্তর-গজারিয়া সড়কে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প, ‘রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদি-হিজলা মহাসড়ক (জেড-৮০৩৪)-এর ৮ম কিলোমিটারে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপরে মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (১)’ প্রকল্প, ‘আনোয়ারা উপজেলা সংযোগ সড়কসহ কর্ণফুলি টানেল সংযোগ সড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ (শিকলবাহা-আনোয়ারা সড়ক)’ প্রকল্প এবং ‘চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন-১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প।
এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ (নেভিগেশনাল চ্যানেল উন্নয়ন)’ প্রকল্প, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্পসমূহ ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিস্থাপক জাহাজ সংগ্রহ’ প্রকল্প এবং ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স সেবা সম্প্রসারণ (ফেইজ-২)’ প্রকল্প। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘অফিসার্স ক্লাব ঢাকা এর ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প, ‘চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েলগেজ রেলপথে রূপান্তর’ প্রকল্প এবং ‘জয়দেবপুর- ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন নির্মাণ (প্রকৌশল সেবা) সংক্রান্ত কারিগরী সহায়তা’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘স্ট্রেংদেনিং রেগুলেটরি সিস্টেম ফর ভ্যাক্সিন, ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স’ প্রকল্প এবং এসেনসিয়াল বায়োটেক এন্ড রিসার্চ সেন্টার, গোপালগঞ্জ স্থাপন প্রকল্প।