প্রধানমন্ত্রী

‘২১ আগস্ট হামলার পর রশিদ-ডালিমকে পালাতে সাহায্য করেন খালেদা’ : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার আব্দুর রশিদ ও শরীফুল হক ডালিম বাংলাদেশে ফিরে তিনি ও তার দলের নেতাদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন। আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন খালেদা জিয়া।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর উপলক্ষে রবিবার এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রা করে তার দল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বিএনপি ওই হামলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। সরকারের সহায়তা ছাড়া এমন হামলা সম্ভব নয়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ওই হামলায় রশিদ এবং ডালিম জড়িত ছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর দুই খুনিকে দেশ ছাড়তে সহায়তা করেছিলেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য রাজনৈতিক সহিংসতার একটি।
তিনি বলেন, ‘‘এটাই বাস্তবতা। অনেকেই জানেন ডালিম ও রশিদ ঢাকায় ছিলেন। আমি জানি না সবাই এই বিষয়ে জানতেন কি না। তাদের আত্মীয়স্বজন আছে, আপনারা তা সহজেই জানতে পারেন।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যখন জানতে পারে যে হামলায় আমি মারা যাইনি, তখন তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তৎকালীন বিএনপি সরকার উদ্যোগ না নিলে তাদের এখানে কে নিয়ে এসেছে? তারা এসেছিল এবং তারা চলে গেছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হত্যা করা বিএনপির চরিত্র এবং এখন আমাদের তাদের সাথে বসতে হবে এবং তাদের আতিথেয়তা দিতে হবে যাতে তারা নির্বাচনে আসে। কেন? আমি বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশে কি আর কোনো মানুষ নেই?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে এখনই সন্ত্রাসের রাজনীতি ও উন্নয়নের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সন্ত্রাসের যুগে ফিরে যেতে চায় নাকি বর্তমান উন্নয়নের পথে থাকতে চায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর তিনি ওই হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *