বিএনপি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, সেটা বিএনপি-জামায়াত চায় না। তারা সব সময় ষড়যন্ত্র করে। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগনের দল বলে তাদের কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন।’
নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আজ নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী সদস্য এড. কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহম্মেদ রাজু এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নজিবুল্লাহ হিরু, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুুর্নীতির কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপি নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দু’জনই দন্ডপ্রাপ্ত। আইন অনুযায়ী দ’ুজনের একজনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ফলে জন বিচ্ছিন্ন বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষের সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করে যেতে হবে। দল করলে দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে, অনিয়ম করে দলের মনোনয়ন দেওয়ার দিন শেষ। আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা চিরদিনের জন্য কাউকে নেতৃত্ব ইজারা দেয়নি। ত্যাগী নেতারা আওয়ামী লীগের আস্থার ঠিকানা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দুঃসময়ের কর্মীরাই দলের আসল বন্ধু। ত্যাগী নেতাদের আর কোনঠাসা করে রাখা যাবে না। তাদেরকে স্থান দিতে হবে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, বাঙালীরা আজ যা কিছু পেয়েছে সব কিছু এই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন। নরসিংদীসহ সারাদেশে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বাসে বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
মির্জা আজম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা এখন বিশ্ব নেতারাও করেন। তারা দেশে এসে সবাই শেখ হাসিনার প্রশংসা করে গিয়েছেন। কারণ, তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখেন কিন্তু বিএনপি তা দেখে না।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এড. এবি এম রিয়াজুল কবীর কাউসার, এড. সানজিদা খানম, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, নরসিংদী জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি, নরসিংদী-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্ণেল (অব:) মো. নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতিক, নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী, নরসিংদী জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া প্রমূখ।