বিএনপির অনেক নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আসেন : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আসেন। আমরা দরজা খুলে দিলে দেখা যাবে যোগদানের লাইন কত বড়। আজ শনিবার বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাটিতে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনটা আসুক, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রমাণ পাবেন। তখন প্রমাণ পাবেন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কত উচুতে। আমাদের প্রমাণ করতে হবে না, আপনারাই টের পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের দলের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীদেরই আস্থা নেই। আপনাদের দলের অনেকেই তো আমাদের কাছে আসে। বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চান। আওয়ামী লীগের দরজাটা খুলে দিলে দেখা যাবে, যোগদানের লাইন কত বড়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বিদেশে বন্ধু আছে, প্রভু নেই। প্রভু আছে আপনাদের(বিএনপি), আমরা বন্ধুত্ব করি। আমরা কারো দয়ায় তো ক্ষমতায় আসিনি। আমাদের দেশের জনগণ সমর্থন করেছে, আল্লাহ পাক দয়া করেছে, তাই ক্ষমতায় আছি। বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয় না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের পরিণতি করুণ। জিয়াউর রহমানেরও অস্বাভাবিক মত্যু হয়েছিলা। যে বুলেট শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সেই বুলেট খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। খন্দকার মোশতাক তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পরেনি। জিয়াউর রহমানের ভুমিকা কি ছিলো ? তিনি যদি পেছন থেকে সাহস না দিতেন, খুনীরা এতো বড় দু:সাহস পেতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি সেনা প্রধান হলেন, এর পর নিজেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট করলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করলেন, বিদেশে বাংলাদেশের দুতাবাসে চাকরি দিলেন।
এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়–য়া ও ডা. কামরুল হাসান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ এর মহাসচিব ডা. শফিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।