বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিশ্বস্ত ঠিকানা হোক শেখ হাসিনা। আগুন সন্ত্রাসকে রুখতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, যত দুর্যোগ, বিপদই আসুক না কেন আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, আাছি। মানুষের পাশে থাকবো এটা আমাদের অঙ্গীকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সবার চেতনায় বঙ্গবন্ধু, আমাদের সবার নিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু, আমাদের বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিনে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মনে করে, শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলে সব হারানো ময়ুর সিংহাসন খুঁজে পাবে! পাবে না, ১০ ডিসেম্বর পারেনি; অশ্বডিম্ব। ৩০ ডিসেম্বরও যদি পারে, ঘোড়ায় ডিম পাড়বে। আছে সম্ভাবনা? আওয়ামী লীগ প্রস্তুত, মোকাবিলা করা হবে।
সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমরা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে যাবো ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গান, তার নাম শেখ হাসিনা। সারা বিশ্বে তিনি আজ সমাদৃত। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। সে জন্য বিরোধীদের অন্তরজ্বালা ধরেছে। তাকে নির্বাচনে হারাতে পারবে না বলেই ষড়যন্ত্র করছে তারা।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে আসলে শেখ হাসিনাকে হঠাতে পারবে না। সে জন্য শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২০ বার চেষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে। এই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহু মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান। মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছে। এসব ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।