বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
সকালে আওয়ামী লীগ রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে সেখানে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পক্ষে ও পরে দলের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গমাতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষথেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, আবদুর রহমান ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদহোসেন, বিএমমোজাম্মেল হক, এস এম কামালহোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ উপপিস্থত ছিলেন।
পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা বঙ্গমাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২’ প্রদান উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষন প্রদান করেন। এসময়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন এবং সভাপতিত্ব করেন। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বঙ্গমাতার জীবনীর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর লেখা ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা আমার মা’ শীর্ষক একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং ‘৭৫ এর ১৫ আগষ্টের শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফলমুল, শাকসবজি ও মাস কলাইয়ের বীজ বিতরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গমাতা’র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে সোমবার বাদ যোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
এদিকে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।