বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে জনগণের সংগঠনে পরিণত করেন : শেখ সেলিম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আজ শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘১৯৪৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ গঠন করা হয়, তখন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধু কারাবন্দি ছিলেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক কারাবন্দি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাধারণ সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, সততা, অসাম্প্রদায়িকতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছিল।
ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবাদী ছিলেন উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ছোট বেলায় তাঁর (বঙ্গবন্ধু) বন্ধু মালেককে মারধর করলে তিনি প্রতিবাদ করেন। উল্টো বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কার করে। পরে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বললেও বঙ্গবন্ধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
শেখ সেলিম বলেন, ‘আদমজী জুটমিলে ৫০০ বাঙালিকে হত্যা করা হয়। তখন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন ওখানে গিয়েছেন কেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে তখন আতাউর রহমান খান, আব্দুস সালামের কাছে যান, কিন্তু কেউই রাজি হননি। পরে মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশের কাছে গেলে তিনি রাজি হন। তাকে সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু সাধারণ সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।