প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নারায়ণগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের সেক্টর ৪-এ উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বাচল শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বড় বড় ফটক করা হয়েছে, সড়কের দুই পাশে পোস্টার ও ব্যানারে ছেঁয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি, ‘লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।’
দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধামন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রকল্প এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এখন সাজ সাজ রব। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে একাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে গেছে মহাসড়কসহ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক। বিশেষ করে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৩শ ফিট সড়কে তোরণ ও ব্যানারে ছেঁয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ডে সভা-সমাবেশ করেছেন এবং ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন।
নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পুরো রূপগঞ্জ উপজেলায় আওয়াজ উঠেছে, নেত্রী আসছে। অনেক নেতাকর্মী রাত থেকে অনুষ্ঠান স্থলের আশপাশে অবস্থান নেবেন, গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করবেন।
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হবেন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তত এক থেকে দেড় লক্ষ নেতাকর্মী সমাবেত হবেন। পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আশা করছি, সুন্দরভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই তাকে কত ভালোবাসি। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রূপগঞ্জবাসী গর্বিত।
লক্ষাধিক লোক সমাবেত হবেন প্রত্যাশা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবাই দেখতে ও ওনার কথা শুনতে প্রায় লক্ষাধিক লোকজন সমাবেত হবেন। সরকারিভাবে জেলা, থানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। এরপরও একটা নেতাকর্মীদের একটা ঢল নামবে, এটা কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার মূল অংশে মেট্রোরেলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আনন্দের বিষয় হলো রূপগঞ্জে মেট্রোরেল আসছে। তবে প্রোপার নারায়ণগঞ্জে যেন মেট্রোরেল দেওয়া হয় সেই দাবি আমরা জানিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়নসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আসবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাউলাউ মারমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে এসএসএফের রিকোয়ারম্যান্ট অনুযায়ী যেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেভাবে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এসএসএফের রিকোয়ারম্যান্ট অনুযায়ী প্রোগ্রামের ভ্যানুতে, সড়কে ও আশেপাশে পুলিশ থাকবে, ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।