প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাজ্য শাখা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে পৌঁছালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য (ইউকে) শাখা তাকে স্বাগত জানিয়েছে ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডনে তার বাসভবনে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে পৌঁছলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুদ্দিন খান, সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাশেম, সহসভাপতি হরমুজ আলী, যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন সিরাজ, মারুফ আহমেদ চৌধুরী, ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী আজ বাসস’কে এ কথা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন পৌঁছেছেন।
শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে রয়েছেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানকালীন হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পরে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এ দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে যুক্তরাজ্যের রাজার আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
একই দিন সন্ধ্যায়, বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন ত্যাগ করবেন।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আয়োজিত সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
এছাড়াও তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি নারী নেত্রীদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মেও যোগ দিবেন।
দিনের শেষে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ,বতসোয়ানা,স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও ইউএন হ্যাবিট্যাটের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিন, তিনি ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।
বিকেলে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পদ্মা সেতুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর উপর একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকে অংশ নেবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।
পরে, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা প্যাদেই তেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এছাড়া, ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনে একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।