পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দরে বিপুল আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে
আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির মধ্যেও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) গত সাড়ে তিন মাসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরে ব্যাপক আমদানি-রফতানি হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) একজন কর্মকর্তা আজ বাসসকে বলেন যে সার, গম, সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল, কয়লা ও গাড়ির আমদানি বেড়েছে এবং মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, পোশাক, পাটজাত পণ্য, ফলমূল, শাকসবজি, সিরামিক, বৈদ্যুতিক তার, মাটির ট্যালি, সুপারি ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু ও খানজাহান আলী রেলসেতুসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের বিপুল যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, কাঁচামাল গত চার মাসে বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়েছে বলে মোংলা কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪০.৪৮ লাখ টন পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল, এলপিজি, কয়লা, সার, গম ও সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাঁচামাল।
বাসসের সঙ্গে আলাপকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা আজ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর জাহাজের আগমন বেড়েছে এবং সরকার মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বাসসকে বলেন, মোংলা সমুদ্র বন্দর রপ্তানির তুলনায় ব্যাপক আমদানি কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে, কারণ সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য বিপুল যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করছে এবং পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আমদানি ব্যয় কমে গেছে। শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, বেশি জাহাজ আসায় বন্দর জেটির সামনে নৌ-চলাচল জরুরি। তিনি বলেন, মোংলা চ্যানেলে নিয়মিত পলি জমায় এবং সেখানে জাহাজ বহনকারী কনটেইনারের অভাব থাকায়, চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বাধিক বিদেশী জাহাজ নোঙর করছে।