দেশে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাবেশ করে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দল আজকে যে সমাবেশ করছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সমাবেশগুলো আমরা করেছি, সেগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। আর নয়াপল্টন, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি যে সমাবেশ করছে, সেগুলো হচ্ছে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সমাবেশ। এই হচ্ছে আমাদের সমাবেশের সঙ্গে তাদের সমাবেশের পার্থক্য।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’তে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আর বিদেশিদের পদলেহন করে কোনও লাভ হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায়, সতর্ক অবস্থানে থেকে শান্তি সমাবেশ করার কারণে বিএনপি দেশে, ঢাকা শহরে অপচেষ্টা চালালেও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি।
ড. হাছান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে এবং র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনিং দিতে চায়, সহায়তা করতে চায়। এটি হচ্ছে তাদের সর্বশেষ ঘোষণা। সুতরাং বিদেশিদের পদলেহন করে বিএনপির কোনও লাভ হয়নি। আর আজ বিএনপি ৫৪ দল মিলে সমাবেশ করেছে, প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দল না ১৪ দল মিলে মঞ্চে ২৪ জন আর সামনে ছিল ১০ জন। আরও কয়েক জায়গায় বিএনপি সমাবেশ করেছে- দল হচ্ছে ১৪টা, মানুষ একশ’র বেশি নাই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বলেছিল সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে যায়, আর ওপারে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। করোনার টিকা নিয়েও বিএনপি অপবাদ দিয়েছিল। পরে নেতারা গোপনে টিকা নিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আর মির্জা আব্বাস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগমুক্তি কামনা করি। মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু আর মির্জা আব্বাসসহ নেতাদের জন্য আমরা করোনার এক্সট্রা ডোজ রেখেছি। আপনাদের দরকার হলে এক্সট্রা ডোজ নেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, সরকারের বিরোধিতা করুন, কিন্তু দয়া করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবেন না।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সাপের মতো। যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। তাই সবসময় সতর্ক থাকবে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো, সতর্ক থাকবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে এনে আবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো।