দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে যুগান্তর অগ্রণী ভূমিকা রাখছে : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রিন্ট মিডিয়া জগতে দৈনিক যুগান্তর একটি পাঠক নন্দিত বহুল প্রচারিত পত্রিকা। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংস্কৃতির বিকাশে পত্রিকাটি অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পত্রিকাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
স্পিকার আজ রাজধানীর যমুনা কনভেনশন সেন্টারে দৈনিক যুগান্তর প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক যুগান্তর মহান জাতীয় সংসদের বিভিন্ন সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। জনমতকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে পত্রিকাটি এদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং জঙ্গীবাদ-মাদক -দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়াস রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, দৈনিক যুগান্তর জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের সমস্যা-সম্ভাবনা, উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং জনমতকে সবার সামনে উপস্থাপন করছে।
দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে স্পিকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলেদেশ গঠনে যুগান্তর কাজ করবে।
এসময় তিনি কেক কেটে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দুই যুগ পূর্তির শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ প্রখ্যাত ক্রিকেটার আকরাম খান, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান এবং প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, যমুনা গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদ, যুগান্তর পত্রিকার সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাঠক, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।