প্রধানমন্ত্রী

তেলের চোরাচালান বন্ধ হওয়ায় সাশ্রয় করতে পারছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় দেশটিতে তেল পাচার হতো—এমন ইঙ্গিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের তেলের দাম বাড়ায় চোরাচালান বন্ধ হয়েছে, এতে দেশের সাশ্রয় হয়েছে। তাই লিটারে তেলের দাম ৫ টাকা করে কমানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তেল বেশি দামে কিনি, এখানে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে দিই। কিন্তু সেই তেল প্রতিবেশী দেশে চলে যায়। যার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা আছে, মানুষের কষ্টটা দূর করার। আমরা অনেক হিসাব-নিকাশ করে দেখলাম যে চোরাচালানটা বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা কিছু সাশ্রয় করতে পারছি, আমরা তেলের দাম ইতিমধ্যে ৫ টাকা করে কমিয়ে দিয়েছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য সব সময় মানুষের দিকে তাকানো।’

খাদ্যপণ্যের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখান থেকে গম কিনি বা সার কিনি, সেখানে এমন একটা অবস্থা…যদিও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, কিনতে পারব। তারপরেও দেশের মানুষ কষ্ট না পায় সেই জন্য করোনার সময় বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছিলাম।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল এবং পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এক ফোঁটা পানি যেন অতিরিক্ত ব্যবহার না হয়। নিয়মিত পানির টাংকি পরিষ্কার করতে হয়। পানিটা কিন্তু ওখানে এসে খারাপ হয়। পাইপলাইনগুলো ঠিক আছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। দেশের অনেক জায়গায় পাইপলাইন পরিবর্তন করেছি।’ পানির অভাব দূর করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।

জলাধার সংরক্ষণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না। যেখানে জলাধার ছিল, তাতে সুউচ্চ ভবন উঠে গেছে, পানি নাই। আগুন লাগলে সুইমিংপুল থেকে পানি আনতে হয়। সেটা যেন না হয়।’ প্রতিটি এলাকার খাল, পুকুর সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

গ্যাস উৎপাদন সরকার বাড়াচ্ছে বলে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘গ্যাস কিন্তু একটা কূপে চিরস্থায়ী না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর জন্য বিদ্যুৎ কিছুটা সাশ্রয় করে যাচ্ছি।’

রুটিন করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মানুষ যেন কষ্ট না পায়, যে হঠাৎ করে যাবে। সেটা করা হচ্ছে সাশ্রয় করার জন্য। আমরা যদি এখন থেকে সাশ্রয়ী না হই, তাহলে আগামী দিনে যে বিশ্বমন্দা হবে, তাতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হব। সেই দিকে লক্ষ রেখে পদক্ষেপ নিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *