ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ অংশে ৭টি ইন্টারসেকশন নির্মাণ
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রশমনে ৭ টি স্থানে ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব ইন্টারসেকশন নির্মাণ করেছে। এসব ইন্টারসেকশন লিংক রোড থেকে মহাসড়কে যানবাহন ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে ওইসব ইন্টারসেকশনে সড়ক দুর্ঘটনা কমাচ্ছে। এছাড়া লিংক সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। সড়কে সাইন সিগন্যাল ,রোড মার্ক পেইন্ট করা হয়েছে। রাতে সড়কে যানবাহন চলাচলের সময় সাইন সিগন্যাল ও রোড পেইন্ট জ্বলে উঠছে। তাই চালকরা দেখে শুনে সাবধানে যানবাহন চালাতে পারছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপদে চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়ায় ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া, বেদগ্রামে, পুলিশ লাইন মোড়, বিজয়পাশা, কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা, ভাটিয়াপাড়া, গেড়াখোলা ইন্টারসেকশন নির্মাণ করে দিয়েছি । এতে ওই সমস্ত এলাকায় দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমেছে। আমরা ওই সড়কের হরিদাসপুর, চন্দ্রদীঘলিয়ায় ইন্টারসেকশন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করব। এরপর মান্দারতলায় ইন্টারসেকশন করে দেওয়া হবে। সব ইন্টারসেকশনগুলো হয়ে গলে এ সড়কে দুর্ঘটনা আরো কমে আসবে। আমরা মহাসড়কের হাট,বাজার,বাঁক, ব্রিজ, কার্লভাটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইন সিগন্যাল, রোডমার্ক পেইন্ট করে দিয়েছি। রাতে যানবাহন চালানোর সময় চালক সাবধানতা অবলম্বন করেত পারছেন। দেখেশুনে গাড়ি চালাতে পারছেন। এটিও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। গোপালগঞ্জ শহরের ঘোনাপাড়া মোড় একটি ব্যস্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে নিরাপদে সাধারণ মানুষের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক পারাপারের জন্য ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছি। এখান থেকে হাজার হাজার মানুষ সুফল পাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ শহরের গোবরা গ্রামের বাস চালক আজিজুর রহমান (৫৫) বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ১২টি স্থান দুর্ঘটনা প্রবণ। এরমধ্যে ৭টি স্থানে সড়ক বিভাগ ইন্টারসেকশন নির্মাণ করেছে। এতে ওই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। আরো ৫টি স্থানে ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ইন্টারসেকশন গুলো নির্মিত হলে সড়ক দুর্ঘটনা আরো কমানো সম্ভব হবে। তবে সাইন সিগন্যাল ও রোডমার্ক পেইন্ট রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। সড়কে এগুলো সংযুক্ত করায় আমরা সাবধানে যানবাহন চালাতে পরছি।
পথচারী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা সদরের বাসিন্দা শহর আলী মুন্সি (৫২) বলেন, ঘোনাপাড়া মোড়ে চক্ষু হাসপাতাল, সরকারি ওষুধ কোম্পানীসহ সরকারির বড় বড় ১২ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঘোনাপাড়ার অদূরে বিশ্ববিদ্যালয়। ঘোনাপাড়ার ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক চলে গেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এখানে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এখানে বাজার, বাসস্ট্যান্ড, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে ঘোনাপাড়া এখন খুবই ব্যস্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইন্টারসেকশনের পাশাপাশি ফুট ওভার ব্রিজ করে দিয়েছে। এ ফুট ওভার ব্রিজ আমাদের মতো পথচারীদের বেশ কাজে আসছে। এটি ব্যবহার করে আমরা নিরাপদে সড়ক পারাপার হতে পারছি।
পথচারী গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামের বাসিন্দা বাপ্পী শেখ (৩৫) বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ জেলা অংশ দুর্ঘটনা প্রবণ। এ সড়কে প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। এটি প্রতিরোধে সড়ক বিভাগ কার্যকরী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেখানে ইন্টারসেকশন নির্মাণ, সাইন সিগন্যাল ,রোড মার্ক পেইন্ট বসানো হয়েছে, সেখানে দুর্ঘটনা কমেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এ সড়কে যানবাহনের চাঁপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেপরোয়া গতিতে চলছে যানবাহন। এখন নতুন নতুন কিছু এলাকা দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে পড়েছে। তাই নতুন করে সড়ক প্রশস্ত করণ, আরো বেশকিছু ইন্টারসেকশন নির্মাণসহ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।