জেআরসি বৈঠকে ৬ নদী বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবুল মোমেন বলেছেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে ৬টি নদীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি আজ শনিবার দুপুরে সিলেটে জেলা পরিষদের আয়োজনে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী খননের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সবকটি নৌপথ আগের মতো সচল করতে চাই; সেই বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটের আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয় উজানের পাহাড়ি ঢলে। তাই, সেখানকার বন্যার পূর্বাভাস বাংলাদেশকে আগাম জানানো ও ড্যামগুলো উন্মুক্ত করার আগে বাংলাদেশকে অবহিত করার কথাও ভারতকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ভারত নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।’
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী মাসের ৪-৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফরের আলোচ্যসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, সেই সফরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়গুলো প্রধান্য পাবে। সেখানে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনায় আসবে।’
এর আগে, শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’ মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি।’
এ বক্তব্য ঘিরে অনেকে সমালোচনা করলে আজ শনিবার নিজের বক্তব্যের ব্যাখা দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে তার বক্তব্যকে সাংবদিকরা টুইস্ট করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে- একটি পক্ষ এমন প্যানিক ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা বৈশ্বিক মন্দার কারণে কিছুটা সংকটে আছি ঠিক, কিন্তু আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি।’
মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়) ভালো আছি। আর আপনারা সব জায়গায় লিখেছেন ‘বেহেশত বলেছেন’। মানে টুইস্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ইংল্যান্ডে ১২ ভাগ, তুরস্কে ৬৭ ভাগ, পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ, শ্রীলংকায় ১৫০ ভাগ, আর আমাদের মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ৭ ভাগ। সেই দিক দিয়ে আমরা ভালো আছি। আপনারা কিন্তু এই কথাগুলো বলেননি। এসব তুলনা করলে আমরা অনেক ভালো আছি। বিষয়টি না বুঝে টুইস্ট করা ঠিক হয়নি।’
এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক ও প্রশাসনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।