আন্তর্জাতিক

জলবায়ু ন্যায়বিচার এগিয়ে নিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশসহ ১৭-সদস্য বিশিষ্ট কোর গ্রুপ এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলির জন্য এটি একটি যুগান্তকারী অর্জন।
কোর গ্রুপের পক্ষে রেজুল্যুশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্যে এই রেজুল্যুশনে মানবাধিকার আইনসহ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সব আইন ও স্বীকৃত নীতিমালার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়ি দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার ওপর পরামর্শমূলক মতামত প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করা হয়। কার্বন নি:সরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি পরিণতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও এই রেজুল্যুশনে অনুরোধ করা হয়েছে।
আদালতের পরামর্শমূলক মতামতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই ধরনের পরামর্শমূলক মতামত জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আরো সাহসী ও শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক ও অপরিবর্তনীয় হুমকির বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও মানবতার বেঁচে থাকার জন্য যে মাত্রায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন, তার ধারে কাছেও নেই বিশ্ব সম্প্রদায়। এই রেজুল্যুশন এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক পরামর্শমূলক মতামত দায়ি দেশগুলির আইনি বাধ্যবাধকতা, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *