জগাখিচুড়ির ঐক্য করে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জগাখিচুড়ির ঐক্য করে কোনও লাভ নেই। গতবার ঐক্যের যে পরিণেতি হয়েছে এবারও সেটাই অপেক্ষা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির জগাখিচুড়ির ঐক্য দিয়ে নির্বাচন করে মুক্তিযুদ্ধের দেশে জয়লাভ করা যাবে না। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বস্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । এই সংকটে যা যা করার তিনি সবকিছুই করবেন। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন।
যারা ইতিহাসের অবাঞ্ছিত সত্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে তাদের স্বরূপ উন্মোচিত করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম – তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন সেটাও আজ তাহলে সত্য?
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তান ধারার রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, কানাডার আদালতেও বিএনপিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সন্ত্রাসী দল হিসেবে। কোন মুখে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল বলেন? আপনার দল আজ দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল।
বিএনপি যদি কখনও ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে এ দেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাবে এমন দাবি করে কাদের বলেন, সেটাই এখন বিএনপির টার্গেট, সেজন্যই আজকে বিএনপি ঐক্যের নামে টালবাহানা করছে, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে জোট করেছে।
ওবায়দুল কাদের আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার আহবান জানিয়ে নেতাকর্মীদের বলেন, ভয় তারাই করে যাদের জনগণের প্রতি কোন আস্থা নেই, তাই বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। জয় আমাদেরই হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশে মিউজিয়ামে। আপনাদের নেত্রীই একসময়ে বলেছিলেন নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই, নিরপেক্ষ হচ্ছে পাগল ও শিশু।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজীবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং নরসিংদী জেলা আওয়ামী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।