জাতীয়

খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে দায় সরকারের নয়।
‘সম্প্রতি ইউনাইটেড হাসপাতালে বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকারের ওপর বিষোদগার’ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ড. সুবল রোজারিও প্রণীত গবেষণাগ্রন্থ ‘হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত ‘আমি প্রীতিলতা’ নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এতে অনার্য প্রকাশনীর প্রকাশক সফিক রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।
‘বেগম জিয়ার অসুস্থতায় রিজভী সাহেবও ফখরুল সাহেবের মতো কেঁদেছেন কি না’ প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি এম্বুলেন্স, ইঞ্জেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।
এ সময় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক  ‘কানেক্টিভিটি’র জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সাথে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।
এ সময় ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গ্রন্থমোড়ক উন্মোচনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে বিশেষত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন।
এ বিষয়ে তিনি বেলজিয়ামে নিজের পিএইচডি অর্জনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
এ সময় ‘আমি প্রীতিলতা’ নাট্যগ্রন্থ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের সন্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী আত্মোৎসর্গকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগের চিরোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গ্রন্থদ্বয় প্রকাশের জন্য প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *