কাজী আরেফ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, কাজী আরেফ আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদ এর ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় নেতা কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৪২ সালের ৮ এপ্রিল এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। দেশভাগ, দাঙ্গা, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, বৈষম্যমূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জাতিগত নিপীড়ন প্রভৃতি ঘটনা তাঁকে ভীষণ প্রতিবাদী করে তুলে। তিনি স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে পুরান ঢাকার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মোকাবিলা করেছিলেন। ৬-দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অগ্রণী সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বিএলএফ বা মুজিব বাহিনীর গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। কাজী আরেফ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর এই অবস্থান আজকের তরুণ সমাজের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ কাজী আরেফ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সুযোগ-সুবিধার প্রতি তাঁর কোনো মোহ ছিল না। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালীদাসপুর বাজার সংলগ্ন স্কুল মাঠে এক সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় ঘাতকদের বুলেটে এই সংগ্রামী নেতা নির্মভাবে নিহত হন।
তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।