‘আজিজ মার্কা কমিশন না থাকায় বিএনপির অন্তরে জ্বালা’
আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন না থাকায় বিএনপির অন্তরে জ্বালা অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বাস করে। সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ সবসময় সংগ্রাম করেছে। স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন যাতে হয় সেই জন্য আওয়ামী লীগ ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করেছে, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স উপহার দিয়েছে। বিশেষ করে সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে। এখন বিএনপি ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের আমল চলে গেছে। ১০ টা হোন্ডা, ২০ টা গুণ্ডার দিন চলে গেছে। আর আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনও নেই। এ জন্য বোধ হয় তাদের (বিএনপি) অন্তরে এত জ্বালা।
সরকারের উন্নয়ন দেখে দেশবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী এবং সরকারবিরোধী কিছু লোক মিথ্যা, বানোয়াট প্রচারণায় উঠে পড়ে লেগেছে মন্তব্য করে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা গুজব ছড়িয়ে সরকার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়।গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতির সব সূচক স্থিতিশীল ও বলিষ্ঠ।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক কূটনীতি, পাবলিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা পলিসি চালু করেছে।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। বলেন, ‘বাংলাদেশকে মেরামত করতে হবে। কাদের কাছ থেকে শুনছি? ৭৫ সালের খুনিদের কাছ থেকে শুনছি।’
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ঘোষণার সমালোচনা করে সুলতান মনসুর প্রশ্ন রাখেন, তারা কি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মত ঘটনা ঘটিয়ে মেরামত করতে চান? জিয়ার দুঃশাসনে যে কারফিউর গণতন্ত্র তারা কি সেই স্বৈরতন্ত্র করতে চান? তাদের কথা শুনলে মনে হয় ওইদিকেই যাচ্ছেন।
এই সংসদ সদস্য বলেন, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে বৈঠক করে যারা বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন চান, সেই পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি আর এ দেশে আসার সুযোগ নেই। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু তারা কোনওদিন আন্দোলনের সফলতা আনতে পারেনি। আগামীতেও সুযোগ থাকবে না।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছে। এটি অসাংবিধানিক। তারা ২৭ দফা দিয়েছে। তারা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলছে। যারা রাষ্ট্র ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে তারাই এখন রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলছে। এটি তাদের মানায় না।
অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দীন, জাফর আলম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার, রত্না আহমেদ, বিকল্প ধারার আব্দুল মান্নান প্রমুখ বক্তব্য দেন।