শিগগিরই তিস্তা চুক্তি সই হওয়ার আশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ উভয় দেশের অমীমাংসিত সব ইস্যু শিগগিরই সমাধান হবে। মঙ্গলবার ভারতের নয়া দিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউজে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতিতে বলেছেন, আমি পুনরায় বলছি যে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, গত এক দশকে উভয় দেশ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সমাধান করেছে। আমরা আশা করছি আসন্ন দিনগুলোতে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ সব অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান হবে।
কুশিয়ারা নদী নিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিক সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের সমাধান হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে এবং এতে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় আমাদের বৈঠক হয়েছে। আগামী দিনে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমরা বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সীমান্ত ও লাইন্স অব ক্রেডিটের মতো খাতগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং আমাদের দুই দেশ ও অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে আমি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্মত হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তাহলে শুধু যে উভয় দেশ উপকৃত হবে তা নয়, এতে পুরো অঞ্চলটিতে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
সূত্র: বাসস